গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলা এসব হামলায় আরও ১৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত দুই দিনে ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন।
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলা এসব হামলায় আরও ১৬২ জন আহত হয়েছেন বলে শনিবার জানিয়েছে তারা।
আল জাজিরা জানায়, সর্বশেষ এসব নথিবদ্ধ মৃত্যু নিয়ে গাজায় ১১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪০৯৩৯ জনে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৪৬১৬ জন ফিলিস্তিনি।
চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার গাজা সিটি থেকে চার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে জাবালিয়া শহরের শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হালিমা আল-সাদিয়া স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত আটজন নিহত ও ১৫ জন আহত হন।
ক্যাপশন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার পর তার স্বজনদের আহাজারি।
গাজা সিটির এক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
একই দিনের পরবর্তীতে গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আরেকটি আশ্রয় কেন্দ্র আমর ইবনে আলা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত ও ২৫ জন আহত হন, জানান ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, স্কুলগুলোর ভেতরে হামাসের কমান্ড সেন্টার ছিল, সেগুলো লক্ষ্য করেই হামলাগুলো চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি বেসামরিকদের ও বেসামরিক অবকাঠামোগুলোকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে তারা, কিন্তু হামাস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক। ছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহ গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখাগুলো জানিয়েছে, তারা গাজা সিটিতে, গাজার মধ্যাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট ও মর্টার বোমা নিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লড়াই করছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে ট্যাংক ও ইসরায়েলি বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
১১ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ এ পর্যন্ত অনেকগুলো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর সবগুলো প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করেছে।